মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধপরিস্থিতির আবহ তৈরি হয়, আর সেই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদকে সরাসরি সমর্থন জানায় তুরস্ক (Turkey)। শুধু রাজনৈতিক সমর্থনই নয়, পাকিস্তানকে ড্রোন এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেও সহায়তা করে তারা। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিভিন্ন মহল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং দেশজুড়ে শুরু হয় তুরস্কের পণ্য ও পরিষেবা বয়কটের ডাক।
তুরস্কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা (Turkey)
তৎকালীন পরিস্থিতিতে ভারত সরকারও তুরস্কের (Turkey) বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করে। ভারতীয় পর্যটকদের (Indian Tourists) মধ্যেও তুরস্ক বর্জনের প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে তুরস্কে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ২৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা। যেখানে ২০২৪ সালের মে মাসে তুরস্কে গিয়েছিলেন ৪১,৫৫৪ জন ভারতীয়, সেখানে ২০২৫ সালের মে মাসে সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩১,৬৫৯ জনে।উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মে মাসেই তুরস্কে সর্বাধিক পর্যটক ভিড় করেন।
ভ্রমণ সংস্থাগুলিও সামিল হয় বয়কট তুরস্ক আন্দোলনে (Turkey)
প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের পরে পাকিস্তান ভারতের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল, যা ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে রুখে দেয়। তখনই প্রকাশ্যে আসে যে ওই হামলার সময় পাকিস্তান তুরস্কের(Turkey) নির্মিত ড্রোন ব্যবহার করেছে। এই তথ্য সামনে আসার পর দিল্লি থেকে তীব্র কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয় এবং একাধিক পদক্ষেপ করা শুরু হয়। MakeMyTrip, EaseMyTrip, ClearTrip-এর মতো প্রধান পর্যটন সংস্থাগুলি ঘোষণা করে যে তারা আর তুরস্কগামী কোনও ট্যুর প্যাকেজ প্রচার করবে না। এইভাবে দেশজুড়ে ‘বয়কট তুরস্ক’ আন্দোলন আরও তীব্রতর হয় (Indian Tourists)।
মোদির সাইপ্রাস সফর
এই কূটনৈতিক উত্তেজনার মাঝেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সফর করেন তুরস্কের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সাইপ্রাসে। এই সফরকে অত্যন্ত কৌশলগত এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি নিকোস ক্রিস্তোদুলিদেসের সঙ্গে একাধিক ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করেন। রাষ্ট্রপতি তাঁকে ১৯৭৪ সাল থেকে তুরস্কের দখলে থাকা উত্তর সাইপ্রাস অঞ্চল ঘুরে দেখান। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সহায়তার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনির তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যেব এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন, “তুরস্ক প্রমাণ করেছে, তারা পাকিস্তানের পাশে আছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে অবস্থান নিতে প্রস্তুত।”
Leave a Reply