মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) গঙ্গাচড়া উপজেলায় ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অজুহাতে মৌলবাদীরা ১৫টিরও বেশি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায়। সম্প্রতি, অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং আনসারের আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ওই ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের বাড়িতে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ বন্ধ করে দেয়।
হিন্দু সংগঠনকে ত্রাণ বিলি করতে বাধা দেয় বাংলাদেশের সেনা বাহিনী
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ৪ অগাস্ট, হিন্দু সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোট-এর সদস্যরা গঙ্গাচড়া উপজেলায় নির্যাতিত হিন্দুদের পরিবারে সাহায্য করতে যান। কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, সেই সময় বাংলাদেশের (Bangladesh Army) সেনাবাহিনী এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা ওই হিন্দু সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাহায্য করার জন্য হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, তারা হিন্দু গুরুদেরও অপমান করে বলে অভিযোগ (Bangladesh)।
ত্রাণ দিতে যাওয়া দলে কারা ছিলেন
এই দলে ছিলেন হিন্দু সমাজকর্মী প্রসেনজিৎ কুমার হালদার এবং আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী গোপীনাথ দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখরা। তাঁরা চাল, সরিষার তেল, সাবান, শ্যাম্পু, পোশাকসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নির্যাতিত হিন্দু পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদেরকে কোনোভাবেই ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। উপরন্তু, সেনাবাহিনী এবং আনসারের সদস্যরা তাঁদের হুমকিও দিয়েছে। এর ফলে সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হয়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকায় কোনও কর্মসূচি চালানো যাবে না (Bangladesh)।
প্রশাসনের অনুমতি কি শুধু হিন্দুদের জন্য, এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন
প্রসঙ্গত, এই একই প্রশাসন মৌলবাদীদের আক্রমণ থেকে নিরীহ হিন্দু গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। অথচ, যখন কেউ সেই নিরীহ হিন্দুদের সাহায্য করতে চায়, তখন তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে — “প্রশাসনের অনুমতি কি শুধু হিন্দুদের জন্য?” এই প্রেক্ষাপটে বলা দরকার, মৌলবাদীরা যেভাবে হিন্দুদের ঘরবাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদের জীবিকা বন্ধ করে দিয়েছে, তার পরেও এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারগুলো কোনও সরকারি ক্ষতিপূরণ পায়নি (Bangladesh)।
Leave a Reply