Hong Kong Fire: হংকং-এর হাইরাইজ এখন জতুগৃহ, অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ৪৪, নিখোঁজ অন্তত ৩০০

hong kong building fire death toll increased in this tragedy many people are missing

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হংকংয়ের (Hong Kong Fire) বহুতল আবাসনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৪। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ৪৫ জন। বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ২০ ঘণ্টা পার হলেও এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি আগুন। এই ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে ২০০০ ফ্ল্যাটের ওই আবাসনে আগুন লাগে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সুউচ্চ আবাসনের ৭টি বহুতল চোখের সামনে আগুনের গ্রাসে চলে যায়। বুধবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৬। বৃহস্পতিবার সকাল হতে হতে তা বেড়ে হয় ৪৪। তবে হতাহতের সংখ্য়া অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ৩০০ মানুষের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত।

নির্মাণকারী সংস্থার চরম গাফিলতি

হংকংয়ের উত্তরের তাই পো জেলার ওয়াং ফুক কোর্টের ওই বহুতলে বুধবারের ওই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পর ওই আবাসনের নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকেই দুষল পুলিশ। জানানো হল, সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারী সংস্থার চরম গাফিলতিতেই প্রাণ গিয়েছে এত মানুষের। বুধবার রাতে হংকং পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট আইলিন চুং সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘বহুতলের নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা চরম অবহেলা করেছিলেন। তার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমাদের এমনটা মনে করার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। তাঁদের গাফিলতিতেই আগুন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে এত বড় ঘটনা ঘটে যায়।’’ ইতিমধ্যে ওই সংস্থার তিন আধিকারিককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে দু’জন সংস্থার ডিরেক্টর। তৃতীয় জন সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে ঠিক কী থেকে ওই আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।

আবাসনের অধিকাংশ বাসিন্দাই বয়স্ক

জানা গিয়েছে, বহুতলটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। তাই বাঁশের ভারা বাঁধা ছিল ৩২ তলা বিল্ডিংয়ের বাইরে। সেই বাঁশের ভারা থেকেই আগুন আরও বিধ্বংসী আকার ধারণ করে। আবাসনের অধিকাংশ বাসিন্দাই বয়স্ক। বিপদে ছুটে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা নেই তাঁদের শরীরে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলায় ফ্ল্যাটের জানলা-দরজাও বন্ধ করে রেখেছিলেন বাসিন্দারা। আগুন লেগেছে বলে গোড়ায় বুঝতেই পারেননি অনেকে। ফোন করে জানাতে তবেই বুঝতে পারেন। উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে আগুনের গ্রাসে এক দমকলকর্মীরও মৃত্যু হয়েছে সেখানে। চিনের কর্তৃত্ব না মানলেও, হংকং চিনের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। সবরকম সাহায্য়ের আশ্বাস জুগিয়েছেন সকলকে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share