Suvendu Adhikari: “গীতার ক’টি অধ্যায় তা বলতে পারবেন না মমতা”, ‘বাবরি’ নামে আপত্তি শুভেন্দুর

Suvendu Attacks Mamata

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সল্টলেক থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। গীতা পাঠ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর না যাওয়া নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হিন্দু-বিরোধী। তিনি গীতার ক’টি অধ্যায় তা বলতে পারবেন না। আয়োজকরা কেন ওনাকে ডেকেছিলেন তা আমি জানি না।” একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “মসজিদ নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। নামকরণে আমাদের আপত্তি আছে।”

নামকরণে আমাদের আপত্তি

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু (Suvendu Attacks Mamata) বলেন, “বাবর একজন লুটেরা, ধর্ষণকারী ছিলেন। ভারতের কেউ ছিলেন না। দেশ দখল করতে এসেছিলেন। তার নাম নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। মসজিদ আপনারা নিজেদের অর্থ জোগাড় করে করুন। কিন্তু এই যে আস্ফালন দেখানো হচ্ছে। সরকারি মদতে পুলিশ বাহিনী দিয়ে যে উল্লাস করানো হল। কোনও পারমিশন নেওয়ার দরকার হচ্ছে না। এগুলিতে আমার আপত্তি আছে।” শুভেন্দুর কথায়, “ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমাদের পার্টির সকলে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। আমিও বলেছি, নামকরণে আমাদের আপত্তি আছে। বাবর একজন ধর্ষণকারী ছিলেন, লুটেরা ছিলেন। তিনি ভারতের কেউ ছিলেন না। তিনি ভারত দখল করতে এসেছিলেন। ভারতের মন্দিরগুলো ভেঙে-গুঁড়িয়ে, আদিবাসীদের ধর্ম পরিবর্তন করতে এসেছিলেন। ভারত থেকে লুটে নিয়ে ভারতের সোনা-হীরে-মণি-মাণিক্য সব আরবে নিয়ে চলে যেতে এসেছিলেন। তাঁর নামকরণে আমাদের প্রত্যেকের আপত্তি রয়েছে। এটা একটি বাংলাদেশের মৌলবাদীদের যে আস্ফালন তার প্রভাব সীমান্তবর্তী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুর্শিদাবাদে দেখানো হচ্ছে। এটি প্রতীকী কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করার কোনও উদ্যোগ নয়। আমরা আবারও বলি, মন্দির-মসজিদ-গির্জা-গুরুদ্বার তৈরি করুন। বৈধভাবে করুন। নিজেদের জায়গায় করুন। নিজেদের সম্প্রদায়ের লোকেরা অর্থ জোগাড় করে করুন।”

মৌলবাদীদের আস্ফালন

শুভেন্দুর সংযোজন, “বাবরের নামে করব, কিছু করতে পারবে না…আমরা করব, করে দেখাব। মাইক বাজাব, লক্ষ লোকের জমায়েত করব…অনুমতি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই…। হুমায়ুন কবীরের ভাষা ঠিক মহম্মদ আলি জিন্নাদের মতো। যেখানে সরস্বতী পুজো যোগমায়া দেবী কলেজে করতে গেলে হাইকোর্টে যেতে হয় ছাত্রীকে। আমাকে দোলের দাহন করতে গেলে ভবানীপুরে রাতে ৯টার পর গিয়ে গলির মধ্যে করতে হয় হাইকোর্টের অর্ডারে, কলকাতা পুলিশের আপত্তিতে। মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একচোখ বন্ধ করে ওখানে এগুলোর অনুমতি দিলেন। এটা মৌলবাদীদের আস্ফালন।”

‘‘উত্তরবঙ্গে ৯-০ করব’’

অন্যদিকে গীতা পাঠ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ না দেওয়া প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “গীতা পাঠের মঞ্চে বিজেপির কেউ ছিল না। ওখানে যে সাধুরা বক্তব্য রেখেছেন তাঁদের কি বিজেপি বলা যায়? আমরা যারা গিয়েছি, তাঁরা হিন্দু হিসেবে গিয়েছি। আমি মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও হিন্দু অনুষ্ঠানেই ডাকা উচিত নয়। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুদের রীতি নীতি মানেন না।” এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে অন্য একাধিক প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য যে ৩৯ শতাংশ ভোট আমরা পেয়েছি, তা ৫১ শতাংশে নিয়ে যাওয়া।” এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফর নিয়েও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন কেন মুখ্যমন্ত্রী আজ বেলডাঙা গেলেন না? পাশাপাশি তিনি তোপ দেগে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গে গিয়ে কোনও লাভ হবে না। কোচবিহারে আমরাই জিতব। আমরা ৯-০ করব।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share