Bangladesh: ইউনূস জমানায় ভালো নেই বাংলাদেশ, গোপালগঞ্জ হিংসায় মৃত বেড়ে ৫

Bangladesh Gopalganj Violence death toll rises to 5

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে (Bangladesh) ইউনূস সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে আওয়ামি লীগ সমর্থকদের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়, সেখানে আরও একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বাংলাদেশের ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক মাকসুদ আলম জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার থানাপাড়া এলাকার রমজান মুন্সি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁর বাবার নাম আকবর মুন্সি বলে জানিয়েছে ঢাকার পুলিশ। জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন রমজান এবং তার মরদেহ পরবর্তীকালে মর্গে পাঠানো হয়।

রিকশাচালক রমজান হিংসার কবলে (Bangladesh)

রমজানের ভাই হীরা মুন্সি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন গোপালগঞ্জ (Gopalganj Violence) সদর এলাকার সিনেমা হলের কাছে তার ভাই একজন যাত্রীকে রিকশা থেকে নামায়। এরপর ফেরার সময় হিংসার কবলে পড়ে যায়, সেখানেই সে গুলিবিদ্ধ হয়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়, পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু কোথাও চিকিৎসায় তিনি সাড়া দেননি। পরবর্তীকালে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মধ্যবর্তী রাতে তিনি মারা যান।

বুধবারই ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ (Bangladesh)

প্রসঙ্গত, বুধবারই ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ। সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশকে কেন্দ্র করে এই হিংসা ছড়ায়। তারা মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এর পরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা (Gopalganj Violence), তখনই সংঘর্ষ শুরু হয়।

৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন (Bangladesh)

পরবর্তীকালে সেনাবাহিনী এসে এনসিপি পার্টির নেতাদের সভা পরিচালনা করতে সাহায্য করেন। কিন্তু তারপরও ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ঐ রাতেই চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে যাদের মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল, তাঁদের নাম হল সোহেল মোল্লা, দীপ্ত সাহা, ইমন তালুকদার এবং রমজান কাজী। গোপালগঞ্জে হিংসার পরে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। স্থানীয় প্রশাসন প্রথমে সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছটা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এবং পরে দুপুর ২টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে এ কথা বলা হয়।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share