Bangladesh: এক কেজির দাম ২০০ টাকা! পেঁয়াজ পেতে সেই ভারতের কাছেই হাত পাতছে বাংলাদেশ!

Bangladesh govt to buy onions from india

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের (India) পায়েই পড়তে হল বাংলাদেশকে (Bangladesh)! সে দেশে হুহু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সেই কারণেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের কাছে হাত পেতেছে। বাংলাদেশের একাধিক আমদানিকারী সংস্থা সরকারের কাছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়েছিল। তাতে সম্মতি দিয়েছেন ইউনূস। ৫০ জন আমদানিকারীকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে ভারত থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টন করে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এভাবে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে বাংলাদেশ।

পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে চোখে জল (Bangladesh)

বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে চোখে জল আসার জোগাড় সে দেশের বাসিন্দাদের। কোথাও কোথাও পেঁয়াজের দাম হয়েছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। কিলো প্রতি ২০০ টাকা করেও বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। সেই দামে রাশ টানতেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের সামনে অবশ্য ভারত ছাড়াও আরও পাঁচটি বিকল্প ছিল। বাংলাদেশ বাণিজ্য ও শুল্ক কমিশন বছরখানেক আগে পেঁয়াজ আমদানির ওপর ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরামর্শ দিয়েছিল সরকারকে (Bangladesh)। তখনই পাঁচ বিকল্প দেশের কথা বলা হয়েছিল।

ভারতের বিকল্প

এই পাঁচটি দেশ হল পাকিস্তান, তুরস্ক, মায়ানমার, মিশর এবং চিন। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানি করে মায়ানমার, চিন এবং তুরস্ক থেকেও। বাংলাদেশেও পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। যদিও সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আগের চেয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেশ খানিকটা বেড়েছে (India)। সূত্রের খবর, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কট প্রাথমিকভাবে সামাল দেওয়া গেলেই, ভারত থেকে ফের আমদানি বন্ধ করে দেবে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য যে, ভারত থেকে যে পরিমাণ পেঁয়াজ বিদেশে রফতানি করা হয়, তার প্রায় এক তৃতীয়াংশই যায় বাংলাদেশে। গত ৩০ অগাস্ট শেষ বার ভারত থেকে পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে গিয়েছিল। তার পর রবিবার ফের ৩০ টন পেঁয়াজের একটা গাড়ি সীমান্ত পেরিয়েছে (Bangladesh)। পেঁয়াজ আমদানির ছাড়পত্র মেলার পর বাংলাদেশের খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম সামান্য কমেছে। যদিও ৫০ জনকে ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় খুশি নন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, আমদানির পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়ানো উচিত ছিল।

পেঁয়াজ কিনতে ইউনূস প্রশাসনের কাছে আবেদন

পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইউনূসের কৃষি মন্ত্রকের কাছে অগাস্ট মাস থেকে আবেদনপত্র জমা পড়েছে সাড়ে তিন হাজার। তার মধ্যে থেকেই বাছাই করে ৫০ জনকে আপাতত অনুমতি দেওয়া হয়েছে (India)। তুমুল বিক্ষোভের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশান্তরিত হন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস। হাসিনা আশ্রয় নেন ভারতে। বস্তুত, তার পরেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে (Bangladesh)। ইউনূস জমানায় বাংলাদেশ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তারা ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আলু-পেঁয়াজ-চাল-সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানির জন্য বিকল্প দেশ বেছে নেওয়া হবে।

ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়েই বিপত্তি!

ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে ইউনূস সরকার। তার পরেই শোনা যায় পাকিস্তান, তুরস্ক এবং মিশরের মতো ইসলামিক দেশ এবং চিন ও মায়ানমারের মতো ‘বন্ধু’ দেশ থেকে আমদানি করা হবে প্রয়োজনীয় সামগ্রী। মনে রাখা প্রয়োজন, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ আগেও পেঁয়াজ কিনত মায়ানমার থেকে, তবে তা নিতান্তই কম। পাকিস্তান-সহ তিন ইসলামিক দেশ থেকেও এখন পেঁয়াজ-সহ অন্যান্য সামগ্রী আমদানি করছে বাংলাদেশ (India)। তবে এজন্য ইউনূসের দেশকে গুণতে হচ্ছে চড়া মাশুল। ভারত থেকে আমদানি করলে যা খরচ হত, এখন ব্যয় হচ্ছে তার দ্বিগুণ-তিনগুণ। সেই কারণেই ফের ভারতের পায়ে এসেই পড়তে হচ্ছে ইউনূসের দেশকে।

পেঁয়াজের দর

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতে পেঁয়াজের দাম ঘোরাফেরা করছে কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সেখানে বাংলাদেশে চোখে জল আনা অতি প্রয়োজনীয় এই সবজির দর ব্যবসায়ীরা হাঁকাচ্ছেন কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। বাংলাদেশ ভারত থেকে ১২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনছে। পরিবহণ খরচ এবং বন্দরের শুল্ক মিলিয়ে খরচ হবে কেজি প্রতি আরও ৬ টাকা করে। এখন এই ১৮ টাকায় পেঁয়াজ কিনে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কত টাকায় বিক্রি করেন, সেটাই দেখার। তবে ভারত (India) থেকে গেলে যে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম তুলনায় সস্তা হবে, তা বলাই বাহুল্য (Bangladesh)।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share