মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকার (Bangladesh) একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হল এক মার্কিন সেনা আধিকারিকের মৃতদেহ। এই ঘটনায় উপমহাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভারত-মার্কিন শুল্ক সংঘাত, ভারত-চীন-রাশিয়ার কাছাকাছি আসার আবহে মার্কিন সেনা আধিকারিকের দেহ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
৩১ অগাস্ট উদ্ধার হয় ওই আধিকারিকের দেহ
জানা গেছে, গত ৩১ অগাস্ট ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলের একটি কক্ষ থেকে ওই মার্কিন সেনা আধিকারিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভারত আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।
মার্কিন সেনা আধিকারিকের নাম টেরেন্স আরভেল জ্যাকসন
আরও বিস্ময়কর তথ্য হল, ওই মার্কিন সেনা আধিকারিক টেরেন্স আরভেল জ্যাকসন বিগত তিন মাস ধরে বাংলাদেশে (Bangladesh) অবস্থান করছিলেন এবং তিনি ব্যবসায়ী পরিচয়ে সেখানে ছিলেন। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জ্যাকসন আদতে কোনও ব্যবসায়ী বা পর্যটক ছিলেন না; তিনি ছিলেন আমেরিকার স্পেশাল ফোর্সেস কমান্ডের কমান্ড ইন্সপেক্টর জেনারেল। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই স্পেশাল ফোর্সেস কমান্ড হল মার্কিন সেনাবাহিনীর (US Special Forces Officer) বিশেষ অপারেশন ইউনিট, যারা সেনাদের সংঘটিত করা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
বাংলাদেশের পুলিশ কোনও ময়নাতদন্ত করেনি
চাঞ্চল্যকর তথ্য আরও সামনে এসেছে যে, জ্যাকসনের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে বাংলাদেশের (Bangladesh) পুলিশ কোনও ময়নাতদন্ত করেনি। বরং দেহটি সরাসরি ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে আমেরিকা এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবুও বাংলাদেশে ওই সেনা আধিকারিকের (US Special Forces Officer) উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন জোরদার হচ্ছে।
ছিলেন ব্যবসায়ী সেজে
বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার নিশ্চিত করেছে যে জ্যাকসন ব্যবসায়িক সফরের নাম করে কয়েক মাস ধরে দেশে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু একজন কর্মরত মার্কিন সেনা বিদেশে এতদিন ধরে কীভাবে ব্যবসায়িক কাজে থাকতে পারেন—সেই প্রশ্নও উঠছে। অন্যদিকে, জ্যাকসনের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে বাংলাদেশের প্রশাসন জানতে পেরেছে যে, আগামী দু’ বছরের মধ্যে সেনাবাহিনী ছাড়ার কোনও পরিকল্পনাই তাঁর ছিল না। ফলে এই মৃত্যু ও তার পেছনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে।
Leave a Reply