Constitution Day: দেশবাসীকে খোলা চিঠি, সংবিধান দিবসে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার ডাক প্রধানমন্ত্রীর

constitution day pm narendra modi writes letter to citizens urges to prioritise duties for a viksit bharat 2047

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংবিধান দিবসে (Constitution Day) দেশের উদ্দেশে চিঠি লিখে নাগরিকদের কর্তব্যবোধকে প্রাধান্য দেওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেই বার্তায় তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন – দেশকে ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’-এর (Viksit Bharat 2047) লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে প্রত্যেককে নিজ নিজ কর্তব্যের প্রতি অটল থাকতে হবে। ৭৬তম সংবিধান দিবসে দেশবাসীকে খোলা চিঠি দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে প্রধানমন্ত্রী জানান কর্তব্য থেকেই অধিকারের জন্ম হয়। তাই প্রতিটি নাগরিকের উচিত আগে নিজের কর্তব্য পালন করা।

সংবিধানের শক্তিতেই প্রধানমন্ত্রী

একইসঙ্গে, ভোটাধিকারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দেশবাসীকে কর্তব্য তথা ভোটদানের অধিকার মনে করিয়ে মোদি বলেন, “আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সংবিধানকে আরও শক্তিশালী করবে। জাতীয় লক্ষ্য এবং স্বার্থকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যদি দেশের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা থাকে, তাহলে কর্তব্য পালন আমাদের ভাবধারার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সংবিধান মহৎ এবং অত্যন্ত শক্তিশালী। এই সংবিধানই আমাকে দেশের প্রধান করেছে। আমি দরিদ্র এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। কিন্তু সংবিধানের শক্তিতেই বর্তমানে আমি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছি।”

সংবিধান রচনার নেপথ্যে থাকা নায়কদের শ্রদ্ধা

প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, সংবিধানের (Constitution) শক্তিই ভারতের অগ্রগতির প্রেরণা। তাই প্রতিটি কাজ সংবিধানকে আরও সুসংহত করবে এবং জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাবে – এই মনোভাবেই চলতে হবে। তিনি বলেন, দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতার অনুভূতি থেকেই কর্তব্য পালন স্বভাব হয়ে ওঠে। সেই অনুভূতিই ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যতের দিকে। চিঠিতে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও স্মরণ করেছেন মোদি (Narendra Modi)। সংসদের সিঁড়িতে ২০১৪ সালে প্রণাম করা থেকে ২০১৯ সালে সংবিধান মাথায় তোলার মুহূর্ত – এসবই তাঁর কাছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতীক। সংবিধান রচনার নেপথ্যে থাকা নায়কদেরও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ (Dr. Rajendra Prasad), ড. বি আর আম্বেদকর (B R Ambedkar) এবং গণপরিষদের বিশিষ্ট নারী সদস্যদের অবদান বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন তিনি।

সংবিধান দিবস-এর গুরুত্ব

এই বছরের সংবিধান দিবসকে অতিরিক্ত তাৎপর্যময় বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সর্দার বল্লভভাই পটেল (Sardar Ballavbhai Patel) ও বীরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী, ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর এবং গুরু তেগ বাহাদুরের ৩৫০তম শহিদ দিবস – এই সব ঐতিহাসিক মুহূর্ত একযোগে কর্তব্যের গুরুত্বই নতুন করে স্মরণ করায় বলে মনে করান তিনি। দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে ভোটদানের (Vote) দায়িত্বকে সর্বোচ্চ বলে চিহ্নিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “একজন নাগরিক হিসেবে কখনও ভোট দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করা চলবে না।” স্কুল-কলেজে প্রতি ২৬ নভেম্বর নবীন ভোটারদের সম্মান জানিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান করারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। চিঠির শেষে তিনি স্পষ্ট করে দেন – শতবর্ষে পদার্পণ করা স্বাধীনতা (২০৪৭) ও সংবিধান (২০৪৯)-এর জন্য আজকের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে আগামী দিনের ভারতের পথচলা। আজকের দায়িত্ববোধই আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করবে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share