মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। ২০২৫ সালে ভারত তার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে চলেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই উদযাপন শুরু হবে দেশজুড়ে। শুক্রবার, সকাল থেকে চলবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক কর্মসূচি পালন। স্বাধীনতা দিবস মানে অনুষ্ঠান-উৎসব, নাচ-গানের মাধ্যমে দেশের বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করা। দেশাত্মবোধ ও জাতীয়তাবাদের এক আলাদা পরিবেশ দেখা যায় শহক থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে প্রান্তিক জনপদগুলিতেও। বাড়ি থেকে ক্লাব, সর্বত্র দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন নাগরিকরা। বিগত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারও ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি নিয়েছে, যার মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে খোদ প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন পতাকা উত্তোলন করার।
দ্য ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স এবং দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা
পতাকা উত্তোলন (Independence Day) তো সর্বত্রই হবে, কিন্তু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় কী করা যাবে আর কী করা যাবে না, রয়েছে সেই ব্যাপারে কয়েকটি নিয়মাবলি ও নির্দেশিকাও (National Flag Hoisting Rules)। দ্য ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স এবং দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া বেশ কিছু নিয়মাবলী বেঁধে দিয়েছে এবিষয়ে। এই দুই বিধিতেই শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে। এমন ভাবে তা তুলতে হবে যেন তা কোনওভাবেই মাটিতে স্পর্শ না করে বা কখনও জাতীয় পতাকাকে কেউ যেন পোশাক হিসেবে ব্যবহার না করেন।
কী কী করতে হবে?
– ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়ার (Independence Day) ২ নং ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক স্বাধীন নাগরিকের অধিকার রয়েছে তাঁর বাড়ি, ব্যবসায়িক জায়গায় অথবা কর্মস্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার।
– যে কোনও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্রতিদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারে।
– জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রদের শপথ বাক্য পাঠ করানোরও কথা বলা হয়েছে।
– জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় মনে রাখতে হবে যে এই পতাকা আমাদের দেশের গর্ব ও মর্যাদার প্রতীক।
– জাতীয় পতাকা কোনওভাবেই উল্টো করে উত্তোলন করা যাবে না, সর্বদাই গেরুয়া অংশ ওপরে থাকবে এবং সবুজ অংশ নীচে থাকবে।
– জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় অথবা নামিয়ে নেওয়ার সময় সর্বদাই স্যালুট করতে হবে।
– জাতীয় পতাকা সর্বোচ্চ স্থানে থাকবে।
কী কী করা যাবে না (National Flag Hoisting Rules)
– কোনও সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না, কাপড় হিসেবে জাতীয় পতাকাকে ব্যবহার করা যাবে না। টেবিল ক্লথ, রুমাল হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না।
– সূর্যাস্তের পরে তিরঙ্গা নামিয়ে নিতে হবে।
– জাতীয় পতাকার প্রতি কোনও অবস্থাতেই অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, এতে পা দেওয়া যাবে না, ইচ্ছাকৃতভাবে মাটিতে বা মেঝেতে স্পর্শ করানো যাবে না।
– ফুল-মালা বা অন্য কোন বস্তু জাতীয় পতাকার ওপরে রাখা যাবে না।
– জাতীয় পতাকা ফেস্টুন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
– নষ্ট হয়ে যাওয়া জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।
– জাতীয় পতাকার ওপর কোনও ধরনের স্লোগান বা নকশা আঁকা যাবে না।
Leave a Reply