Khaleda Zia: “ভারত সহায়তা দিতে প্রস্তুত”, এবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাল বাংলাদেশের বিএনপি

Khaleda zia critical condition bnp thanks pm modi

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র মার্কিন প্রবাসী সজিব ওয়াজেদ। তাঁর মাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোদিকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। আওয়ামি লিগের পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন বাংলাদেশের আর একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি। সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই মঙ্গলবার বিএনপির তরফে ধন্যবাদ জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে।

প্রধানমন্ত্রীর বার্তা (Khaleda Zia)

বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন খালেদা। বাংলাদেশের বছর আশির এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি সম্পর্কে জানতে পেরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জনজীবনে অবদান রেখে এসেছেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমাদের আন্তরিক প্রার্থনা এবং শুভকামনা। আমরা যেভাবে পারি, ভারত সকল ধরনের সম্ভাব্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত।” প্রসঙ্গত, শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা ভর্তি রয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালে।

বিএনপির প্রতিক্রিয়া

প্রত্যুত্তরে, অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপি বলেছে, তাদের নেতার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ার সময়ে সদিচ্ছাপূর্ণ উদ্যোগের জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেলে তারা লিখেছে, “বিএনপি এই সদিচ্ছার উদ্যোগ এবং সাহায্য দেওয়ার প্রস্তুতি প্রকাশের খবর গভীরভাবে মূল্যায়ন করে (PM Modi)।” বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে নাম তুলে নিয়েছেন খালেদা। সম্প্রতি ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। পরে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করেন। বিএনপি নেতারা জানান, তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। বিদেশি বিশেষজ্ঞ-সহ একটি মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি (Khaleda Zia)। হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতা হঠাৎ করে তীব্র হয়ে ওঠায় ২৩ নভেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কী বলছে বিএনপি

বিএনপি নেতারা বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। দলের ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান জানান, চিকিৎসকরা প্রায় সব ধরনের চিকিৎসার পথ ব্যবহার করে দেখেছেন। তিনি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন। সারা জাতির কাছে আবেদন দোয়া চাওয়া ছাড়া আর করার কিছুই করার নেই।” মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দিন-রাত কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, “তিনি (খালেদা) গুরুতর অসুস্থ। তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।” সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি জানান, রবিবার পর্যন্ত তাঁর অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।উল্লেখ্য, খালেদা (Khaleda Zia) দীর্ঘদিন ধরে লিভার ও কিডনির জটিলতা, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস এবং চোখের সমস্যা-সহ বেশ কয়েকটি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে আসছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য চার মাস লন্ডনে থাকার পর গত ৬ মে ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি।

শারীরিক অবস্থার উন্নতি

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, খালেদার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার তিনি সামান্য নড়াচড়া করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথাবার্তায় সাড়াও দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা। খালেদার চিকিৎসা করছে চিকিৎসকদের যে টিম, তাদের বক্তব্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও, তিনি এখনও ঝুঁকি মুক্ত নন। লিভারজনিত জটিলতা, কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যা সামলে তাঁর চিকিৎসা করতে হচ্ছে বিশেষ সতর্কতায়। পরে ফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় খালেদাকে রাখা হয়েছে আইসিইউ সমমানের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ)। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তবে বিদেশযাত্রার মতো স্থিতিশীলতা এখনও আসেনি। চিকিৎসকদের লক্ষ্য, তাঁকে ধীরে ধীরে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, যেখানে বিমানযাত্রা করতে কোনও কষ্ট না হয় তাঁর (PM Modi)।

চিন থেকে এল চিকিৎসক দল

এদিকে, সোমবারই চিন থেকে বাংলাদেশে গিয়েছেন একদল চিকিৎসক (Khaleda Zia)। সন্ধ্যায়ই তাঁরা খালেদার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনাও সেরে নিয়েছেন। এই মেডিক্যাল বোর্ডে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছাড়াও রয়েছেন আমেরিকার জন হপকিনস হাসপাতালের এক চিকিৎসক এবং লন্ডনের এক চিকিৎসক। এর পরেও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে চিনা বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে, ভারত ছাড়াও খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আরও কয়েকটি দেশও। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত তুরস্ক ও রাশিয়ার দূতাবাস থেকেও তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে (PM Modi)। দিন কয়েক আগে খালেদার আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও (Khaleda Zia)।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share