Monsoon in Kerala: ১৬ বছরে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি! বর্ষা ঢুকে পড়ল কেরলে, বাংলাতে কবে প্রবেশ?

monsoon arrives in kerala earliest in 16 years rain in kolkata

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা ঢুকে গেল দেশের মূল ভূখণ্ডে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আট দিন আগেই কেরলে বর্ষা (Monsoon in Kerala) প্রবেশ করল শনিবার। মৌসম ভবন জানিয়েছে, গত ১৬ বছরে এত তাড়াতাড়ি দেশে বর্ষার আগমন হয়নি। ২০০৯ সালের পর এই বছরই নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকল দেশে। কেরলে বর্ষা তার স্বাভাবিক আসার তারিখ ১ জুনের চেয়ে ৮ দিন আগেই এসে পৌঁছেছে। ১৬ বছরের পরিসংখ্যানও প্রকাশ করা হয়েছে।

কোন বছরে কবে বর্ষার প্রবেশ

গত বছর কেরলে বর্ষা (Monsoon in Kerala) এসেছিল ৩০ মে। ২০২৩ সালে ৮ জুন দক্ষিণের এই রাজ্যে প্রবেশ করেছিল দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। এছাড়াও আইএমডি-র তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ২৯ মে, ২০২১ সালের ৩ জুন, ২০২০ সালের ১ জুন, ২০১৯ সালের ৮ জুন এবং ২০১৮ সালের ২৯ মে কেরলে বর্ষা ঢুকেছিল। কেরলে বর্ষার সবচেয়ে তাড়াতাড়ি প্রবেশের নজির তৈরি হয়েছিল ১৯১৮ সালে। সে বছর ১১ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ষা ঢুকে পড়েছিল কেরলে। এ ছাড়া, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দেরি করে কেরলে বর্ষা প্রবেশের নজির রয়েছে ১৯৭২ সালে। সে বছর বর্ষা এসেছিল ১৮ জুন। শনিবার কেরল, কর্নাটকের দক্ষিণ অংশ এবং গোয়ার কিছু অংশে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৯ মে পর্যন্ত কেরল এবং কর্নাটকের উপকূলে বর্ষণ চলবে। সঙ্গে থাকতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টি হবে তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও।

বাংলায় কবে বর্ষার প্রবেশ

কেরলে বর্ষা (Monsoon in Kerala) ঢুকে পড়লেও পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগাম প্রবেশের সম্ভাবনা আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কেরলে আগাম বর্ষা প্রবেশ করলে বাংলার ক্ষেত্রেও তা হবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের আনুষ্ঠানিক সময় ১০ জুন। আপাতত বঙ্গোপসাগরের উপরে নিম্নচাপের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তার প্রভাবেই শনিবার সকাল থেকে শহর কলকাতার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। বেলা বারোটা থেকেই শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থলে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার ফলে আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভিজতে পারে কলকাতাও। বর্ষার আগমন সাধারণত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসে। বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে, যা ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড। সময়মতো বৃষ্টিপাত ভূগর্ভস্থ জলের স্তর উন্নত করে, জলাশয় ভরাট করে এবং ধান, ডাল, তৈলবীজ, তুলা এবং শাকসবজির মতো খরিফ ফসলের আগাম বপনে সহায়তা করে। এই সবকিছুই খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ আয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share