মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দেখাল বিজেপি-শাসিত বিহার (Bihar)। চালু করে দিল মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ (E-Voting)। বাড়িতে বসে মোবাইলে প্রথম ভোটটি দিলেন বিভা দেবী। তিনিই বিহারের প্রথম মহিলা ই-ভোটার। শনিবার রাজ্যের তিন জেলার ছ’টি পুরসভার ৪৫টি আসনে উপ-নির্বাচন হয়। তাতেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছিল ই-ভোটিং ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় দেশ তো বটেই বিদেশ থেকেও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা।
ই-ভোটিং (E-Voting)
এদিন ভোট হয়েছে পাটনা, পূর্ব চম্পারন, রোহতাস, বক্সার, বাঁকা এবং সরণ – এই ছ’টি পুরসভায়। ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৭টায়। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ভোট গণনা হবে ৩০ জুন। বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দীপক প্রসাদ জানান, দেশে এই প্রথম বিহারে ই-ভোটিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল ভোটের হার বৃদ্ধি করা। অসুস্থ কিংবা বয়স্করা বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেন না। ভোট দিতে পারেন না কর্মসূত্রে যারা দূর দেশে বসবাস করেন, তাঁরাও। বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেন না অন্তঃসত্ত্বারাও। কষ্ট করে বুথে গিয়ে ভোট দিতে হয় বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের। ই-ভোটিং (E-Voting) ব্যবস্থা চালু হওয়ায় এবার থেকে বাড়িতে বসেই তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের উৎসবে। দীপক বলেন, “ই-ভোটিংয়ের জন্য দু’টি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নিরাপদ। ই-ভোটিংয়ে একবার ভোট দেওয়া হয়ে গেলে সেটি লক হয়ে যাবে। শুধু ভোট গণনার দিন ফের খোলা হবে।” এই অ্যাপ দুটি হল ই-ভোটিং এসইসিবিএইচআর এবং ই-ভোটিং এসইসিবিআইএইচএআর।
কারা ভোট দিতে পারবেন?
কারা এই ব্যবস্থায় ভোট দিতে পারবেন? জানা গিয়েছে, ৮০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক, বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার, গুরুতর রোগে অসুস্থ ভোটার, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং পরিযায়ী শ্রমিক বা বিদেশে থেকে স্বীকৃত ভোটার (E-Voting)। বিহার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই পুরসভা উপনির্বাচনে ১৬ হাজার ৭৮৮ জন মহিলা এবং ১৬ হাজার ২৯১ জন পুরুষ মোবাইলে ই-ভোটিং করবেন বলে আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ৩১ হাজার ২৩৮ জন ভোটারকে ই-ভোটিং ব্যবস্থায় (Bihar) ভোট দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
Leave a Reply