মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এনিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, ‘‘কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাও টানতে হবে।’’ সোমবারই তৃণমূল বিধায়ককে ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী শনিবার ফের আদালতে তোলা হবে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে। এদিন ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে ধৃতের স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্টে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বলছেন, বাবা গিফট করেছেন। স্ত্রী বলছেন, চাকরি করে আয় করা টাকা। এসবই মিথ্যা বলে দাবি করেন ইডির আইনজীবী।
কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?
জীবনকৃষ্ণর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ সাহা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভাইপো, মানিক ভট্টাচার্যদের বড় এজেন্ট। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলার তালিকা তৈরি করা, টাকা তোলা এবং একটা অংশ রাখা… এইসব কাজটাই করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। আমি অনেকবারই বলেছি জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) কাছে পড়ে থাকলে শুধু হবে না। কারণ জীবনকৃষ্ণ সাহা কান্দি, নবগ্রাম,খড়গ্রামের বিধায়কদের দিয়ে সেইসব এলাকা থেকে টাকা তোলা এবং সেই সব এলাকায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্তটা করেছেন। কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাকেও টানতে হবে।’’
আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল, সবাই দেখেছে
তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগে পাঁচিলে ঝোলা, পুকুরে মোবাইল ফেলা, পাম্প মেশিন বসিয়ে জল তোলা। আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল। সবাই দেখেছে। শাসকদল যখন বলছে রাজনীতি করছে, তখন শাসকদলের একটাও বলা উচিত ছিল যে কেন জীবনকৃষ্ণ সাহা ছুটে পালাতে গেলেন? তিনি যদি নিরাপরাধ হয়ে থাকেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকেন,তাহলে ফেস করা উচিত। কেন তিনি মোবাইল পুকুরে ফেললেন? প্রথমে তো অস্বীকার করছিলেন। তিনি যে অপরাধী সেটা আজ সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছেন । শুধু ইডির কাছে নয়, ওটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে।’’
এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না
বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না। মূলত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই গ্রেফতারি হয়েছিল। এমনকি চোর সরকার সেই গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই দুর্নীতি তদন্ত সরাসরি হাইকোর্টের মনিটরিং-এ হচ্ছে। হাইকোর্ট একটি সিট বানিয়ে দিয়েছিল। এমনকি এই তদন্তের কে নেতৃত্ব দেবেন সেটাও সিবিআই হাতে ছিল না। সিবিআই কে তিনটের নাম জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। তার মধ্যে থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হয়।’’
Leave a Reply