মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের বিষদাঁত গুঁড়িয়ে দিতে তৎপর ভারত সরকার। মঙ্গলবারের পরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফের বড় সাফল্য উপত্যকায়। বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পুলওয়ামা (Encounter in Pulwama) জেলার ত্রাল এলাকার নাদির গ্রামে জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে খতম করল সেনাবাহিনী। সূত্রের খবর, এই তিনজনের নাম আসিফ আহমেদ শেখ, আমির নাজির ওয়ানি এবং ইয়াওয়ার আহমদ ভাট। তারা প্রত্যেকেই জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা ছিল বলে খবর।
জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান
সূত্রের খবর, আসিফ আহমেদ শেখের বয়স ২৮। জৈশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের হয়ে ২০২২ সাল থেকে অবন্তীপুরায় সক্রিয় ছিল। আমির নাজির ওয়ানির বয়স ২০। ইয়াওয়ার আহমেদ ভাটের বয়স ২৪ বছর। এরা জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদে ছিল ২০২৪ সাল থেকে। পুলওয়ামায় সক্রিয় ছিল। গত ৪৮ ঘণ্টায় এই নিয়ে দ্বিতীয় এনকাউন্টার হলো ভূস্বর্গে। মঙ্গলবার সকালেই কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার কেল্লারে তিন জঙ্গিকে খতম করেছিল বাহিনী। তারা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। পহেলগাঁও হামলার পরে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) জঙ্গি নিকেশ করতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে অভিযান। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি সূত্রের দাবি, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরে লস্করের ১৪ জঙ্গি জম্মু-কাশ্মীরে (Encounter in Pulwama) সক্রিয় ছিল। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬ জঙ্গি সেনাবাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার নিহত হয় শাহিদ কুট্টে, আদনান সফি দার এবং আসান আহমেদ শেখ। সূত্রের খবর, এখনও হাই প্রোফাইল ৮ সন্ত্রাসবাদী জম্মু-কাশ্মীরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাক জঙ্গিদের লজিস্টিক-সহ যাবতীয় সাপোর্ট জোগাচ্ছে তারা। তাদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। গোয়েন্দাদের অনুমান, উত্তর কাশ্মীরে এখনও ৪৪ জন পাকিস্তানি জঙ্গি লুকিয়ে আছে। স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা ৬৬। দক্ষিণ কাশ্মীরে স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা ১০৯। পাক জঙ্গির সংখ্যা মাত্র ৭। আর এদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে পহেলগাঁওয়ের নারকীয় হত্যালীলা চালানো পিশাচরা। তাঁদের চিহ্নিত করে নিকেশ না করা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলবে সেনা অপারেশেন।
মণিপুরে হত ১০ জঙ্গি
মণিপুরেও (Manipur) সেনাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল ১০ জঙ্গির। বুধবার সে রাজ্যের মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া চান্দেল জেলায় জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা জানতে পারে সেনা। তার পরেই ওই জেলার নিউ সামতাল গ্রামে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। জঙ্গিদের তরফে গুলি ছোড়া শুরু হয়। পাল্টা গুলি চালিয়ে ১০ জঙ্গিকে নিকেশ করেন অসম রাইফেলসের সদস্যেরা। ওই জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে মণিপুরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় হানা দেন অসম রাইফেলসের স্পিয়ার কর্পসের সদস্যেরা। তল্লাশি এবং জঙ্গিদমন এখনও চলছে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply