মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত তো বটেই, বিদেশেও হিন্দু (Hindus) এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। দশকের পর দশক (Roundup Week) ধরে চলা এই আক্রমণের প্রকৃত গভীরতা এবং বিস্তার অগ্রাহ্য করে চলেছে বিশ্ব। তার জেরেই বাড়ছে হিন্দু নিধন কিংবা নির্যাতন। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশ-বিদেশের ছবিটা।
প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিল (Hindus)
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত থিরুভোনমের দিনে উত্তর কেরালার কন্নুর জেলায় এক দল তরুণী প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিল করে। মিছিলটি আবার নিয়ে যাওয়া হয় কয়েকটি মন্দিরের সামনে দিয়ে। কেরালার কমিউনিস্ট শাসক এবং উন্মুক্ত চিন্তাবাদী অনুসারীরা ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলে ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী প্রচার করলেও, নিজের রাজ্যে ওড়ায় প্যালেস্তাইনের পতাকা, হামাস জঙ্গিদের সমর্থনে মিছিল হয়, যাহিয়া সিনওয়ার মতো ব্যক্তিদের জন্য জানাজা পড়া হয়, অথচ সেখানে পিনরাই বিজয়ন সরকার একটি ওনম পুক্কোলামে অপারেশন সিন্দুর লেখা শব্দটি কেটে দেয়। এদিকে, স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বজরং দল জেনেছে, এক হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করে হিন্দু নামধারী এক মুসলমান যুবক। মনীশ চৌধুরী নাম নিয়ে সে ওই মহিলাকে প্রতারণা করে।
গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পাথর
মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলার ভিরোদা গ্রামে গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ইসলামি উগ্রবাদীরা পাথর ছোড়ে। পাথরের ঘায়ে জখম হন বেশ কয়েকজন। প্রেমিকার বাড়িতে গণেশপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেতা আলি গোনি। তাঁর অমুসলিম প্রেমিকা গণপতি বাপ্পা মোরিয়া বললেও, তিনি ছিলেন নীরব। তা নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়। প্রত্যুত্তরে আলি বলেন, “আমার ধর্মে পূজা করা নিষেধ। কোরআনেও এটি বলা হয়েছে। আমি প্রথমবার গণেশ পূজায় গিয়েছিলাম। আমাকে টার্গেট করা হয়েছে কারণ আমি মুসলিম। তবে কেউ যদি আমার সামনে গালাগালি করে, আমি তার গলা কেটে ফেলব।” তাঁর এই বক্তব্য ইসলামিক ফান্ডামেন্টালিজমের মানসিকতারই পরিচয় দেয়। কর্নাটকের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো হয় গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায়। কোথাও মূর্তির ওপর থুতু ফেলা হয়, কোথাও আবার পাথর ছোড়া হয় মসজিদ থেকে। ওই ঘটনাগুলিতে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ২১জনকে। ঘটনার প্রতিবাদে অংশ নেওয়া হিন্দুদের ওপর লাঠিচার্জও করা হয়েছে বলে অভিযোগ (Roundup Week)। মহারাষ্ট্রের কেশব নগরের গোদরেজ ইনফিনিটি হাউজিং সোসাইটিতে অবস্থিত শিব মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পবিত্র শিবলিঙ্গটি গাছের গোড়ায় উল্টে ফেলা হয়। তার ওপর ফেলা হয় নোংরা আবর্জনা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় (Roundup Week)।
এক মাসে নিখোঁজ ৫৬ জন মেয়ে
অম্বেদকর নগর জেলায় মাত্র এক মাসে নিখোঁজ হয়েছেন ৫৬ জন মেয়ে। এঁদের অধিকাংশই হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স্ক, তফশিলি জাতি ও দরিদ্র পরিবারের। পুলিশি রেকর্ড থেকেই জানা গিয়েছে, ১৮টি থানায় মোট ৫৬টি অপহরণের ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে বেশ কিছু হিন্দু পরিবার সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে অভিযোগ দায়ের করেনি। উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় এক হিন্দু মহিলাকে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইহসান হুসেন। পরে তাঁকে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা হয়। চেন্নাই থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই মহিলাকে (Hindus)।গোরখপুরের রামগড়তল এলাকায় বছর ছাব্বিশের এক হিন্দু মহিলাকে যৌন নিপীড়ন ও প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় শামশাদ আলম নামে এক ব্যক্তি। ওই মহিলার অভিযোগ, শামশাদ বিহারের বেতিয়া জেলার বাসিন্দা। ইনস্টাগ্রামে সে নিজেকে রাকেশ নিশাদ পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শামশাদ তাঁর কাছ থেকে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা ও পরে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে আরও ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় (Hindus)। অন্যদিকে, কেরল হাইকোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষ কমিশনারের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাচীন শবরীমালা মন্দিরের ভেতরে মণ্ডপের দু’পাশে যে দুজন দ্বারপাল রয়েছেন, আগাম অনুমতি ছাড়াই তাঁদের গা থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে সোনার মোড়ক।
লাভ জিহাদ
ইনস্টাগ্রামে সানি বলে পরিচয় দিয়েছিল শানু নামের এক মুসলমান যুবক। সে তফশিলি জাতির এক মহিলাকে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে ধর্ষণ করে। তদন্তে জানা গিয়েছে, শানু হিন্দু নামে নকল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করত মহিলাদের। কথা বলার সময় সে এমন ভান করত যে সে যেন ওই মহিলার জাতি ও সম্প্রদায়ের লোক। এভাবে সে তাদের আস্থা অর্জন করে ফাঁদে ফেলত (Hindus)।মুম্বইয়ের বিক্রোলি পার্কসাইট এলাকায় এক অটোরিকশা চালক নীরজ উপাধ্যায়কে মুসলমানরা ‘সর তন থেকে জুয়া’ হুমকি দেয়। তিনি ছত্রপতি সাম্ভাজির নামফলক ঈদের পোস্টার দিয়ে ঢেকে ফেলার প্রতিবাদ করেন। তাই এই হুমকি।
খালিস্তানপন্থী জঙ্গিকে নিরাপত্তা
এবার তাকানো যাক বিশ্বের দিকে। ভারতের পড়শি দেশ নেপালে পশুপতিনাথ দর্শনে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে সর্বস্ব খুইয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের এক তীর্থযাত্রী দল। হামলাকারীরা বাসে পাথর ছোড়ে। যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ব্যাগ, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন (Roundup Week)। কানাডা দীর্ঘদিন ধরেই খালিস্তানপন্থীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। সম্প্রতি সে দেশের সরকার খালিস্তানপন্থী জঙ্গি ইন্দরজিৎ গোসলকে সুরক্ষা দিয়েছে। সে ব্র্যাম্পটন হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল (Hindus)।
Leave a Reply