মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক (Indias Energy Policy) বাড়ানো সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। সাফ জানিয়ে দিলেন মস্কোয় নিযুক্ত নয়াদিল্লির রাষ্ট্রদূত (Indian Envoy)। রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির জ্বালানি বাণিজ্য অব্যাহত থাকার জবাবে ভারতীয় আমদানির ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করার ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তকে লক্ষ্য করে এই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অযথার্থ।” তিনি শুল্ক বৃদ্ধিকে ন্যায্য বাণিজ্যের নীতি ক্ষুণ্ণকারী এক শাস্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আর রাশিয়া-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতা বৈশ্বিক তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করেছে।” প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটন যখন ভারতের আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে মোট শুল্ক হার ৫০ শতাংশে নিয়ে যায়, তার কয়েক সপ্তাহ পরেই এল মস্কোয় নিযুক্ত নয়াদিল্লির রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্য।
ভারতের প্রতিনিধির সাফ কথা (Indias Energy Policy)
ভারতের প্রতিনিধি সাফ জানিয়ে দেন, ভারতের জ্বালানি নীতি মূলত তার জনগণের জন্য নির্ভরযোগ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রয়োজনে গঠিত, বাইরের কোনও রাজনৈতিক চাপে নয়। তিনি বলেন, “সরকার দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে থাকবে।” কুমার বলেন, “বাণিজ্য সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভিত্তিতেই হয়। তাই যদি বাণিজ্যিক লেনদেনের ভিত্তি ঠিক থাকে। সবচেয়ে ভালো প্রস্তাব যারা দেবে, তাদের থেকেই তেল কিনবে ভারত। বর্তমান পরিস্থিতি এটিই।” ভারত বারবার (Indias Energy Policy) রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করে চলেছে। নয়াদিল্লির যুক্তি, সাশ্রয়ী জ্বালানির প্রাপ্যতা তার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীর্ষকর্তারা আরও জানান, অন্যান্য দেশ, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলিও এখনও কিছু মাত্রায় মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কুমার বলেন, “আমাদের বাণিজ্য বাজারের উপাদানের ওপর ভিত্তি করে এবং ১৪০ কোটি ভারতীয় মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মূল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে করা হয়। অন্য দেশগুলিও, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে।”
জয়শঙ্করের আগের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আগের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে। শনিবার জয়শঙ্কর ওয়াশিংটনের পদক্ষেপকে অন্যায্য ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “নয়াদিল্লি ভারতের কৃষক ও ক্ষুদ্র উৎপাদকদের স্বার্থে কখনও আপস করবে না।” প্রসঙ্গত, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ হিসেবে ভারত ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া থেকে (Indian Envoy) অপরিশোধিত তেল কেনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। কুমার বলেন, “ভারত ও রাশিয়া জাতীয় মুদ্রায় নিষ্পত্তির জন্য একটি স্থিতিশীল ব্যবস্থা চালু করেছে (Indias Energy Policy)।”
Leave a Reply