Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু, কানপুরে শিয়া-সুন্নি বিরোধ

3 Lashkar terrorists killed in gunfight with security forces in Jammu and kashmirs Shopian amid Operation Sindoor

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। সকাল সকাল গুলির লড়াই শুরু হল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কুলগাঁওয়ে। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর তিন জওয়ান জখম হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ওই এলাকায় আরও কেউ লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে কানপুরের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা পাতকাপুরে আবারও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত এক যুবকের সামাজিক মাধ্যমে করা একটি পোস্ট সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ পোস্টটিকে “অত্যন্ত আপত্তিকর” বলে বর্ণনা করেছে।

সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

গোপন সূত্রে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে সোমবার ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁও (Jammu and Kashmir) কুলগাঁওয়ে। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর তিন জওয়ান জখম হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ওই এলাকায় আরও কেউ লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়ে জেলার গুদারের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। তখনই আচমকা সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি ছোড়েন জওয়ানেরাও। তাতেই এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন তিন জওয়ান। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযান এখনও চলছে। চিনার কর্পস টুইটারে এক পোস্টে জানিয়েছে, সুর্নিদিষ্ট ইনপুটের ভিত্তিতে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামে। প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু হয়। তাতেই এক জঙ্গির মৃত্যু হয়।

শিয়া-সুন্নি বিরোধে উত্তপ্ত কানপুর

কানপুরের (Shia-Sunni clash in Kanpur) অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা পাতকাপুরে ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনাটি শিয়া-সুন্নি সাম্প্রদায়িক বিরোধ থেকেই সূত্রপাত। অভিযুক্ত সোজাফের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুন্নি সম্প্রদায়কে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, “আমরা পোস্টটির বিষয়বস্তু যাচাই করছি। সামাজিক মাধ্যম অনেক সময়ই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের উৎস হয়ে ওঠে, এবং আমরা নিশ্চিত করছি যেন এর অপব্যবহার আর না ছড়ায়।” পুলিশ সোজাফকে হেফাজতে নিয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পাথর ছোঁড়া ও উসকানিমূলক স্লোগানের অভিযোগে জনতার মধ্য থেকে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। “শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইলে যে-ই হোক, তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share