Pakistan: এবার পাকিস্তানেও পড়ানো হবে সংস্কৃত, জানুন আসল কারণ

Pakistan Lahore university resumes Sanskrit education

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশভাগের পর থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) ব্রাত্যই ছিল সংস্কৃত। তবে ভারতীয় এই ভাষাটির গুরুত্ব বুঝতে পাকিস্তানের সময় লাগল প্রায় ৭৭ বছর। যদিও শেষমেশ সংস্কৃতের (Sanskrit Education) গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি। দেশভাগের পর এই প্রথম লাহোর ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসে পড়ানো হবে সংস্কৃত। শুধু তাই নয়, শীঘ্রই গীতা ও মহাভারত নিয়ে পড়াশোনার সুযোগও মিলতে পারে সেখানে। সূত্রের খবর, পড়ুয়া এবং শিক্ষাবিদদের সুপারিশেই সংস্কৃত, গীতা এবং মহাভারতকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও চলছে। লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে তিন মাসের কোর্স হিসেবেই চালু করা হয়েছিল সংস্কৃত শিক্ষা। ক্লাস হত সপ্তাহান্তে। সংস্কৃত ব্যাকরণ থেকে পৌরাণিক রীতি-নীতি সম্পর্কে পড়ানো হত। এতে পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা এতই উৎসাহিত হয়ে পড়েন যে, পুরোদমে ফোর ক্রেডিট কোর্স চালু করছে লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়।

পরিস্থিতি পালটাতে পারে (Pakistan)

এই কোর্সের মাধ্যমে পড়ুয়ারা ‘হ্যায় কথা সংগ্রাম কি’ গানের উর্দু সংস্করণও শিখতে পারবেন। এটি জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল মহাভারতের থিম সং হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। গুরমানি সেন্টারের ডিরেক্টর আলি উসমান কাসমি বলেন, “১৯৩০ সাল নাগাদ গবেষক জেসিআর উলনার তালপাতায় লেখা বেশ কিছু পাণ্ডুলিপি সংগ্রহে রেখেছিলেন। ১৯৪৭ সাল থেকে কোনও পাকিস্তানি শিক্ষাবিদ সেই সব বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেননি। শুধু বিদেশি গবেষকরাই সেগুলি নেড়েচেড়ে দেখেন (Sanskrit Education)। এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে।”

মহাভারত ও গীতার কোর্স

লাহোর বিশ্ববিদ্যালয় মহাভারত ও গীতার কোর্সও চালু করতে চলেছে। কাসমি বলেন, “আগামী ১০-১৫ বছরে পাকিস্তান থেকে গীতা ও মহাভারত বিষয়ক পণ্ডিত উঠে আসবেন (Pakistan)।” ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজের সোশিওলজি বিভাগের অধ্যাপক শাহিদ রাশিদ বলেন, “ধ্রুপদী ভাষাগুলির মধ্যে মানবজাতির জন্য প্রচুর জ্ঞান নিহিত রয়েছে। আমি আরবি ও ফারসি ভাষা দিয়ে শুরু করেছিলাম, পরে সংস্কৃতও শিখেছি।” তিনি বলেন, “গোটা অঞ্চলকে বেঁধে রাখে সংস্কৃত ভাষা। সংস্কৃত ব্যাকরণের জনক পাণিনি এখানকার গ্রামের বাসিন্দা। সিন্ধু সভ্যতার যুগে অধিকাংশ লেখালেখি তিনি করেছেন এখানেই। সংস্কৃত পর্বতের মতো, সাংস্কৃতিক সৌধ। আমাদের নিজেদের অধিকার বুঝতে হবে। সংস্কৃত কোনও বিশেষ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত নয়।”

নতুন যুগের সূচনা

তিনি বলেন, “ভেবে দেখুন (Sanskrit Education), ভারতের হিন্দু এবং শিখরা যদিও আরও বেশি করে আরবি শেখেন এবং পাকিস্তানের মুসলমানরা যদি সংস্কৃত শেখেন, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা হতে পারে একটি নতুন যুগের সূচনা। ভাষা তখন প্রতিবন্ধক না হয়ে, হয়ে উঠতে পারে সেতু।” তিনি জানান, ২০২৭ সালের বসন্ত আসতে আসতে বছরভরের কোর্স চালু করতে তাঁরা সফল হবেন বলে আশাবাদী। লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই শেখানো হয় সিন্ধি, পাশতু, পঞ্জাবি, বালুচি, আরবি এবং ফারসি। কিন্তু আঞ্চলিক সাহিত্যই হোক বা কবিতা, শিল্পই হোক বা দর্শন, বৈদিক যুগের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে সব (Sanskrit Education) কিছুর। তাই জরুরি হয়ে উঠেছে সংস্কৃত শিক্ষা (Pakistan)।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share