মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলতে চলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ! সোমবার বেজিংয়ে চিনা (China) বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ওই বৈঠকে বাধাদানকারী বাণিজ্যিক পদক্ষেপ ও রাস্তায় থাকা বিভিন্ন বাধা সরানোর আহ্বানও জানান তিনি। জয়শঙ্কর দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। কারণ দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে দুই দেশই।
কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)
জয়শঙ্কর বলেন, “এই প্রসঙ্গে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে দুই দেশের বাণিজ্যে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা বা প্রতিবন্ধকতা যেন আরোপ না করা হয়। আমি আশা করি, এই বিষয়গুলি নিয়ে আরও বিশদে আলোচনা করতে পারব।” তিনি জানান, গত ন’মাসে উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছে। জয়শঙ্করের এই চিন সফর হচ্ছে পাঁচ বছর পরে, ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর। ওই সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তার মারাত্মক প্রভাব পড়েছিল ভারত-চিন সম্পর্কের ওপর।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক
প্রসঙ্গত, জয়শঙ্করের ওই মন্তব্য এমন একটা সময়ে এল যখন চিন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সার-সহ ভারতের বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নানা প্রতিবন্ধকতারও সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “গত ন’মাসে আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ভালো অগ্রগতি করেছি। এটি সীমান্তে উত্তেজনার অবসান এবং সেখানে শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার ফল।” তিনি বলেন, এই হল পারস্পরিক কৌশলগত আস্থার মৌলিক ভিত্তি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মসৃণ বিকাশের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এখন আমাদের দায়িত্ব সীমান্ত-সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ের মোকাবিলা করা, যার মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টিও।”
চিনের সংবেদনশীল খাতগুলিতে রফতানি নিয়ন্ত্রণের নাম না করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “ভবিষ্যতের সহযোগিতা নির্ভর করবে উভয় পক্ষই বাণিজ্যিক সীমাবদ্ধতা থেকে সরে আসে কি না, তার ওপর। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ স্বাভাবিক করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলি নিশ্চিতভাবেই পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতা বাড়াতে পারে (China)। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হল বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিবন্ধকতা এড়ানো।”
Leave a Reply