Waqf Amendment Act: দেশব্যাপী কার্যকর নয়া ওয়াকফ আইন, শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের

Waqf Amendment Act comes into force, Supreme Court to hear on April 15

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই সংসদে পাস হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Act)। এর পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করায় তা পরিণত হয়ে গিয়েছে আইনে। এবার  ৮ এপ্রিল, থেকে দেশের সর্বত্র তা কার্যকার হল। এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে মঙ্গলবার তা জানিয়ে দিল মোদি সরকার। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ -এর ধারা (১) এর উপধারা (২) এর ক্ষমতা প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে এই আইনকে কার্যকর করল। ওয়াকফ আইন কার্যকর হওয়ার পরেই বিরোধীদের তোপ দাগেন মোদি। তাঁর মতে, আগের ওয়াকফ আইন সংবিধানের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল। যা হতে দেওয়া যায় না। কারণ, দেশের সংবিধান সবার ওপরে।

সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের (Waqf Amendment Act)

লোকসভায় ও রাজ্যসভায় বিল পাশ হয়ে যেতেই পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধীরা। দেশের শীর্ষ আদালতে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানি হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে ওয়াকফ আইনের বিষয়ে। এই আইন বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে শুনানির আবেদন করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারপক্ষের যুক্তি না শুনে কোনও নির্দেশ জারি করতে পারবে না শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিরোধী রাজনীতিবিদরা ছাড়াও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ সহ দশটিরও বেশি সংগঠন আবেদন করেছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার গত ৪ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিলের পক্ষে ভোট দেন ১২৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দেন ৯৫ জন সদস্য। এরপরেই বিলটি (Waqf Amendment Act) পাশ হয়ে যায়। এর আগে ৩ এপ্রিল লোকসভায় বিলটি পাশ হয়। ২৮৮ জন সদস্য এই বিলকে সমর্থন করেন। ২৩২ জন সদস্য এর বিরুদ্ধে ভোট দেন।

মোদির বিবৃতি

এই আবহে সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি। ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act) নিয়ে মোদি বলেন, ‘‘তোষণের ওই বীজ রোপণ হয়েছিল স্বাধীনতার সময়ে। ভারতের সঙ্গে যে দেশগুলি স্বাধীন হয়েছিল তাদের কাউকে বিভাজনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। কিন্তু কিছু ব্যক্তির রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে ক্ষমতার লোভে দেশের বিভাজন হয়। এতে কংগ্রেস ও কট্টর মুসলিমদের লাভ হয়। কিন্তু গরিব, পিছিয়ে থাকা পসমন্দা মুসলিম সমাজের কী লাভ হয়? তাঁরা অশিক্ষা ও আয় না থাকার চক্রে আটকে পড়েন। আর মহিলারা শাহ বানোর মতো অবিচারের শিকার হন।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যে সংবিধান ন্যায়ের কথা বলে তার থেকেও শক্তিশালী ছিল ওই আইন। ওই আইন এনে কট্টরপন্থী মুসলিম ও ভূমি মাফিয়াদের হাত শক্ত করা হয়। তাঁদের জমি হরণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। যে আইন ন্যায়ের জন্য ছিল তা ভয়ের কারণে পরিণত হয়।’’

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share