PMO: ট্রাম্পের শুল্কধাক্কার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জরুরি বৈঠক

Pmo calls emergency meeting as trumps tariffs on indian goods

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক (Trumps Tariffs) আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার জেরে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভারতীয় রফতানিকারীদের। ঘটনার মোকাবিলার ২৬ অগাস্ট, মঙ্গলবার একটি জরুরি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) সূত্রে খবর। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি ডাকা হয়েছে এমন একটা সময়ে, যখন ভারতীয় রফতানিকারীরা বুধবার থেকে কার্যকর হতে চলা ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এটি আগের ২৫ শতাংশ শুল্ককে দ্বিগুণ করে দিচ্ছে। প্রথমে এই শুল্কহার ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫ শতাংশ।

শুল্কবৃদ্ধির ধাক্কা (PMO)

ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই উল্লেখযোগ্য শুল্কবৃদ্ধির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যেসব ভারতীয় ব্যবসা করছেন, তাঁদের লাভের পরিমাণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রক রফতানিকারী এবং রফতানি উন্নয়ন পরিষদগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বর্তমানে পঁচিশ বছরের শুল্ক কাঠামোর কারণে ইতিমধ্যেই যে ক্ষতি হয়েছে, তা মূল্যায়ন করতেই এই যোগাযোগ করা হচ্ছে। শিল্পপতিরা জানিয়েছেন, আগের ২৫ শতাংশ শুল্কও তাঁদের লাভের মার্জিনকে যথেষ্ট সংকুচিত করেছে এবং তার জেরে মার্কিন বাজারে তাঁদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান আগের চেয়ে বেশ দুর্বল হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা সার্বিক অর্থনীতিজুড়ে স্বস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপ কৌশল খুঁজে দেখছেন। এখন তাঁরা মনোযোগ দিচ্ছেন খাতভিত্তিক সহায়তা ব্যবস্থার দিকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলিকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সাহায্য করতে পারে।

জরুরি ঋণসীমা গ্যারান্টি প্রকল্প

রফতানিকারীরা জরুরি ঋণসীমা গ্যারান্টি প্রকল্প (Emergency Credit Line Guarantee Scheme) চালুর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এটি জামানতবিহীন কার্যকরী মূলধন দেবে এবং সরকারের ঝুঁকি কভারেজের আওতায় আসবে। তবে নীতিনির্ধারকেরা খাতভিত্তিক কেন্দ্রীভূত হস্তক্ষেপের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। আধিকারিকদের ধারণা, এমন লক্ষ্যভিত্তিক পদ্ধতি বিস্তৃত কর্মসূচির তুলনায় বেশি কার্যকর ফল দিতে সক্ষম। জানা গিয়েছে, ইদানিং সরকারের মনোযোগ বিশেষভাবে কেন্দ্রীভূত হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং রফতানিমুখী উৎপাদন ইউনিটগুলি রক্ষার দিকে। এগুলিকে বহিরাগত অর্থনৈতিক বিঘ্নের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলি (Trumps Tariffs) বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে যে খাতভিত্তিক ঋণ সুবিধা, যা জামানত দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে, তা প্রকৃত অর্থে সাহায্য করতে পারবে (PMO)।

সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, রফতানিমুখী ইউনিট ও ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পগুলিকে রক্ষা করাই এখন সরকারের কৌশলের মূল লক্ষ্য। কারণ বহির্বিশ্বের ধাক্কায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রত হয় এই খাত। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার (Trumps Tariffs) খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। কারণ টেক্সটাইল, চর্মজাত পণ্য সামগ্রী, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং কেমিক্যাল খাত – সব ক্ষেত্রেই বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে নয়া শুল্কের ধাক্কা (PMO)।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share