মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ১০০ কিলোমিটার ভিতরে থাকা জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ৷ এই আক্রমণে ভয় পেয়েছে পাকিস্তান (India Pakistan Conflicts)। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) করে ভারত জৈশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারত পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) নয়টি বড় সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করেছে ৷ লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হয়েছে। অভিযানে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। ভারতের প্রত্যাঘাত এখানেই শেষ হয়নি। তিনদিন পর, বেছে বেছে ১১ পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ভারত। তাতে, ওই বায়ুঘাঁটিগুলিতে বিশাল ক্ষতি হয়েছে। বহু পাক যুদ্ধবিমান, ড্রোন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ভেঙে পড়়েছে। অকেজো হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের একাধিক সামরিক পরিকাঠামো। এই হামলা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ভারতীয় সেনার অভিযানের সময় চেক পোস্ট ছড়ে পালিয়ে যান বহু পাক সেনা কর্তা।
“অফিস পরে খুলবে, আগে জীবন বাঁচাও”
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’ সফলভাবে পরিচালিত হওয়ার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেনা সূত্রে প্রাপ্ত ইন্টারসেপ্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান (India Pakistan Conflicts) অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মোতায়েন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ৭৫তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের একজন কমান্ডার হামলার সময় নিজের পোস্ট ত্যাগ করেন। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ওই কমান্ডারকে অফিস পুনরায় খোলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দেন, “অফিস পরে খুলবে, আগে নিজের প্রাণ বাঁচাও।” মুজাফ্ফরাবাদ সংলগ্ন অঞ্চলে মোতায়েন ৭৫তম ব্রিগেড ভারতীয় সেনার হামলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল। অপারেশন চলাকালীন সাওয়াই নালা এবং সৈয়দনা বিলাল ক্যাম্পসহ একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়।
পালিয়ে গেলেন পাক সেনা কমান্ডার
আরেকটি ইন্টারসেপ্টে শোনা যায়, একজন পাকিস্তানি (India Pakistan Conflicts) জুনিয়র অফিসার বলছেন, “আমাদের কমান্ডার সাহেব কোনও রকমে পালিয়ে গিয়েছেন। উনি এখন এক মসজিদে নামাজ পড়ছেন। বলেছেন পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি ফিরবেন না।” এই হামলায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে হতাহতের ঘটনা আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তোলে। হাজিক পীর সেক্টরে পাকিস্তানের ১৬তম বালোচ রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন হাসনাইন শাহ নিহত হন। তাঁর দেহ অ্যাবোটাবাদে ফিরিয়ে আনা হয়। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এই অভিযানে প্রায় ৬৪ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত ও ৯৬ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিদের হাতে ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হন। তারই জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালু করে। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায় সেনা।
Leave a Reply